Search This Blog

Thursday, January 28, 2010

বিট আর বাইট নিয়ে সমস্যা, আর না আর না।

আমরা অনেক সময়ই কম্পিউটার এর মেমরি হিসেব করতে গিয়ে বলি আমার হার্ড ড্রাইভ ৫৪০ গিগা বাইট, অথবা আমার র‌্যাম ২ গিগাবাইট। আবার নেট স্পীড বলতে গিয়ে বলি আমার নেট স্পীড ১২৮ কিলোবাইট আবার কারও ৫১২ কিলো বিট। এখানেই হল সমস্যা, কিলোবাইট আর বিট নিয়ে আমরা অনেকেই অনেক সময় কনফিউজড হয়ে যাই। আবার অনেকেই মনে করি, বিট আর বাইট সমান জিনিষ। কিন্তু আসলে ভিন্ন। বাইট লেখা হয় ইংরেজীতে বড় হাতের B দিয়ে আর বিট লেখা হয় ছোট হাতের b দিয়ে. কম্পিউটার এর যে মেমরি থাকে তা আমরা হিসেব করি বাইট দিয়ে।এখন মনে করুন আপনার র‌্যাম ১ গিগাবাইট, এর মানে কি? আপনার হার্ড ড্রাইভ ৮০ গিগা বাইট, এর মানেই বা কি?
আমরা যখন কম্পিউটার এ একটা সংখ্যা বা অক্ষর এন্টার করি, তখন কম্পিউটার এর মেমোরিতে সেটা একটা স্পেস নেয়, এই এক অক্ষর যে পরিমান জায়গা নেয় তাই হল এক বাইট। তার মানে আপনার কম্পিউটার এর যদি ১০০ কিলোবাইট স্পেস ইউজ হয় তাহলে ১০০ ক্যারেক্টার সেভ করা আছে। এখন যদি আপনার কম্পিউটার এর মেমরি হয় ৮০ গিগা বাইট তাহলে কত ক্যারেক্টার ধারন করতে পারবে? সেটা জানতে হলে জানতে হবে ১ কিলোবাইট = কত বাইট? নিচের চার্টে এর হিসাব দেখানো হলঃ

১ কিলোবাইট = ১০২৪ বাইট
১ মেগাবাইট = ১০২৪ কিলোবাইট
১ গিগাবাইট = ১০২৪ মেগাবাইট
১ টেরাবাইট = ১০২৪ গিগাবাইট

এভাবেই এ হিসাব করা হয়। এখন কথা হল, বাইট তো গেল, এখন বিট কি? আবার আরেকটা প্রশ্ন থেকে যায় যে ক্যারেক্টার এন্টার করলে এরকম হয়, যখন কোন মুভি বা গান সেভ করি তখন কিভাবে হিসাবে করব? সেটাও তো বাইট এর হিসাবে সেভ হয়। আসলে কম্পিউটার যখন কোন কিছু তার মেমোরীতে সেভ করে তখন তা কোন অক্ষর বা গান বা মুভি আকারে সেভ করে না, করে কিছু সংখ্যা দ্বারা যা প্রচলিত সংখ্যার মত না, ভিন্ন। সে সংখ্যাগুলো শুধু ০ এবং ১ এর সমন্বয়ে গঠিত। এ ধরনের হিসাবকে বলা হয় বাইনারি সিস্টেম। এই সিস্টেমে একটা ডিজিট লিখতে হলে আটটা বাইনারি সংখ্যা লিখতেখহয়।আপনি যদি একটা সংখ্যা কম্পিউটারে প্রবেশ করান, তাহলে কম্পিউটার সেটাকে আটটা বাইনারি ডিজিট হিসেবে সেভ করে। মনে করুন আপনি যদি একটা A লিখেন তাহলে বাইনারি সিস্টেম এ সেটা হবে ০১০০০০০১। আবার যদি লিখেন a তাহলে সেটা হবে ০১১০০০০১। কম্পিউটার এভাবেই সবকিছু সেভ করে। এখন কথা হল এই বাইনারি সিস্টেমের একেক্টা ক্যারেক্টার যে স্পেস নেয় সেটাই হচ্ছে ১ বিট। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ১ বাইট = ৮ বাইট, যার মানে ১ কিলোবাইট = ১০২৪x৮ বিট। এটাই হচ্ছে বিট আর বাইটের পার্থক্য। আশা করি বিষয়টা আমি পরিস্কার করতে পেরেছি।

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের চরম বিপর্যয়

ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, এক সময়ের জনপ্রিয় ব্রাউজার যা আজ অনেকেরই চোখের বিষ। দিনকে দিন এর জনপ্রিয়তা কমছেই। গত সপ্তাহ ছিল এর জন্য আরও বিপর্যয়পুর্ন। কারন গত সপ্তাহে গুগল দাবী করে ছিল চীনে মানবাধিকার কর্মীদের জিমেইল একাউন্ট হ্যাক করার ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করা হয়েছে। মাইক্রোসফটও উপায়ন্তর না দেখে সেই দাবি মেনে নিয়ে স্বীকার করেছে সেটা।আর তাদের এই খবর জানার সাথে সাথে জার্মান ও ফ্রান্স সরকার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে তাদের দেশের জনগনকে। যদিও মাইক্রোসফট বলছে যে এর ত্রুটি এত বেশি নয় যে ব্যবহার করা ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু তারপরও মাইক্রোসফট তথা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের জনপ্রিয়তার এখন চাপের মুখে।হয়ত একদিন আসবে যখন পৃথিবীর সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এক্সপ্লোরার এর কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবে।
সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪.কম